শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:১৩ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

পর্যটন শিল্প বিকাশে সম্ভাবনাময় আরও একটি দর্শনীয় স্থান ‘শ্বেত পাহাড়’

আবদুল আজিজ:
কক্সবাজারে পর্যটন শিল্প বিকাশে সম্ভাবনাময় আরও একটি নতুন দর্শনীয় স্থান ‘শ্বেত পাহাড়’। চকরিয়া উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নে মাতামুহুরী নদীর তীরঘেষে অবস্থিত এ পর্যটন স্পটের নাম ‘নিভৃত নিসর্গ পার্ক’ নামে উদ্বোধন করা হয়েছে। একইভাবে উক্ত পর্যটন স্পটের আকর্ষনীয় একটি পাহাড়ের নামকরণ করা হয়েছে ‘শ্বেত পাহাড়’। নদীর পাশে সাদা মাটির সু-উচ্চ এ বিশাল পাহাড়টি ‘শ্বেত পাহাড়’ নামে পর্যটকদের কাছে পরিচিত হয়ে উঠছে।

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে রয়েছে নানা পর্যটন স্পট। এসব পর্যটন স্পট গুলো দিন দিন ভ্রমন পিপাসুদের কাছে অনেকটা পুরনো হয়ে উঠলেও নতুন আরও একটি পর্যটন স্পটের সন্ধান পেয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। যা পর্যটকদের প্রতিনিয়ত হাতছানি দিয়ে ঢাকবে। তাই, পর্যটকদের কথা বিবেচনা করে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন উক্ত স্থানে ‘নিভৃত নিসর্গ পার্ক’ নামে নতুন একটি পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। গত শনিবার কক্সবাজার জেলা প্রশাসন উক্ত পর্যটনকেন্দ্র উদ্বোধনের পাশাপাশি আকর্ষনীয় একটি বিশাল পাহাড়ের নামকরণও করেছে ‘শ্বেত পাহাড়’ নামে। ইতিমধ্যে যাতায়াতের সুবিধা ও নানা অবকাঠামো গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

গত শনিবার বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেনের নেতৃত্বে প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তারা উক্ত পর্যটন স্পটের নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এসময় উক্ত দর্শনীয় স্থানে পর্যটন বিকাশের অপূর্ব সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন- পাহাড়, নদী ও শ্বেতপাহাড় বেষ্টিত এই পর্যটন স্পটকে ভ্রমনের নিরাপদ ও আকর্ষনীয় হিসাবে গড়ে তোলা হবে।

সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম কক্সবাজার ভয়েসকে বলেন, ‘সুরাজপুর-মানিকপুরের এই সবুজে ঘেরা পাহাড় বেষ্টিত আকর্ষনীয় পর্যটন স্পটটিতে পর্যটনকেন্দ্র হিসাবে পুর্নাঙ্গ রূপ পেলে দেশের পর্যটন শিল্প বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ সামসুল তাবরীজ কক্সবাজার ভয়েসকে বলেন, ‘মানিকপুরের পর্যটন জোনকে পর্যটকদের জন্য আরো আকর্ষনীয় করে তুলতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষথেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই আলোকে জেলা পশাসনের তত্তাবধানে আমরা সম্প্রতি সময়ে পর্যটন জোনের উন্নয়নে কাজ শুরু হয়েছে।’

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেন কক্সবাজার ভয়েসকে বলেন, ‘সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নস্থ মাতামুহুরি নদীর কোলঘেঁষে নয়নাভিরাম সৌন্দর্যমন্ডিত নতুন পর্যটন স্পট “নিভৃতে নিসর্গ” এর ভিত্তিপ্রস্তরের মাধ্যমে পর্যটনে নতুনমাত্রা যোগ হল। দুপাশে সুউচ্চ পাহাড়ের মাঝ দিয়ে আকাবাকা নদীপথ বয়ে চলেছে। নৌকাভ্রমণে কিছুদূর গেলেই চোখে পড়বে শ্বেত পাথরের বিশাল পাহাড়। এই পাহাড়ের আনাচে কানাচে লুকিয়ে থাকা সকল সৌন্দর্যের আধারে পর্যটন বিকাশে জেলা প্রশাসনের নিরবধি প্রচেষ্ঠা অব্যাহত থাকবে।’

এদিকে, পর্যটন জেলা কক্সবাজারের নতুন পর্যটন স্পট মানিকপুরকে ঘিরে এই অঞ্চলের মানুষের মাঝে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের উজ্জল সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে। একদিকে পাহাড়ের নৈগর্সিক সৌন্দর্য অন্যদিকে পাহাড় লাগোয়া মাতামুহুরী নদীর বিশাল জলরাশি ভ্রমন পিপাসুদের মাঝে দর্শনীয় হয়ে উঠেছে। পাহাড় নদীর এই অপরূপ সানিধ্য পেতে এখন মানিকপুর ছুটে যাচ্ছেন ভ্রমনপিপাসু মানুষ।

এদিকে মানিকপুরের এই দর্শনীয় পর্যটন জোনকে আরো আকর্ষনীয় করে তুলতে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন সম্প্রতি সময়ে পর্যটন জোনের উন্নয়নে প্রদক্ষেপ নিয়েছেন। এরই অংশহিসেবে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্তাবধানে ইতোমধ্যে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন প্রকল্প অনুমোদন সাপেক্ষে পরিকল্পিতভাবে অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে মানিকপুর পর্যটন জোনকে ঢেলে সাজাতে কাজও শুরু করেছেন। এরই মধ্যে মানিকপুরের পর্যটন জোনটি বর্তমানে শৈল্পিকতায় ছোঁয়ায় নতুন রূপ পেতে শুরু করেছে।

সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের এই সবুজে ঘেরা এলাকাটি পর্যটন স্পট হিসাবে পূর্ণাঙ্গ রূপ পেলে পর্যটন বিকাশের পাশাপাশি উক্ত এলাকার অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধি লাভ করবে এমনটি প্রত্যাশা স্থানীয় সচেতনমহলের।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION